জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে ইভটিজিং করার ঘটনার প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, ভাঙচুর ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের নগদ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার উপকারভোগীদের “নগদ” একাউন্ট খোলার জন্য সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছিলেন সীমা আক্তার নামে এক নারী কর্মী। স্থানীয় খানপাড়া গ্রামের বাবলু খানের ছেলে মিনাল খান ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ওই নারীকে প্রথমে উত্ত্যেক্ত করেন।
পরে ওই নারী ইউনিয়ন পরিষদে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে বিষয়টি জানালে তিনি উত্ত্যেক্তকারী মিনালের কাছে কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে মিনালের কথা বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডা নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খানপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক লোকজন চেয়ারম্যানকে মারধর করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে তারা চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদের একটি কম্পিউটার ভাঙচুর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জিআর কর্মসূচির কিছু টাকা লুট করে নেন। খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, আমি ও ট্যাগ অফিসার মিলে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা (জিআর) কার্যক্রমের টাকা বিতরণ করছিলাম। এ সময় স্থানীয় এক ছেলে পরিষদে এসে এক নারীকে ইভটিজিং করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে ছেলেটি তার লোকজন নিয়ে এসে আমার কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করেন এবং নগদ কিছু টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন