ভাঙ্গায় গত সোমবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিন উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হযেছে অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটশ জনকে।
মামলার এজহারে বলা হয়, উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া এলাকায় বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষের সমর্থকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় এসআই মোমিন উদ্দিন ও চার পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, পরে আহত ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশের দায়ের করা ওই মামলায় বিবাদমান দুই পক্ষের প্রধান দুই নেতাসহ তাদের আরও ৪০ জন সমর্থককে নাম উল্লখ করে মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য করিম মাতুব্বর ও তার প্রধান সহযোগী ইয়াকুব মিয়া এবং তাদের প্রতিপক্ষ একই ইউনিয়নের মৃধাকান্দা গ্রামের আবুল কালাম মোল্লা ও তার প্রধান সহযোগী বেলাল মোল্লা রয়েছেন।
ভাঙ্গা থানার এসআই মোমিন উদ্দিন জানান, পুলিশের উপর হামলার মামরায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার তাদের জেরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টার দিকে আবুল কালাম মোল্লার ভাতিজা অনিক মোল্লা (২১) পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে গেলে তাকে করিম মাতুব্বরের লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। এ সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষচলাকালে ৮টি বাড়ি ও ১২টি দোকনে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন