বরগুনার বেতাগী পৌর শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পড়ায় ঝু্ঁকির মধ্য পড়েছে পৌর শহর। সংস্কারের অভাবে ইতিমধ্যে নদীর পাড়ের অনেক ছোট ছোট অবকাঠামো বিলীন হয়েছে বিষখালী নদীতে। একদিকে পানির তীব্র স্রোত অপর দিকে প্রবল বর্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) দেয়া পৌর শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক প্রতিদিন ধসে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। লঘুচাপের প্রভাবে একটানা ভারী বর্ষণ ও বিষখালী নদীতে জোয়ার পানিবৃদ্ধির কারণে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন ব্লক ধসে সম্পূর্ণ বেড়িবাঁধ বিলীন হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
২০১৯ সালের ১৫ জুন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রতিমন্ত্রী (কর্নেল অব:) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়ার ২ বছর অতিক্রম হলেও কার্যকর হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নাগরিকরা একাধিকবার মানববন্ধন, ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেছে পৌর শহর রক্ষায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিডর, আইলা, ইয়াসের পর কোনো ভেঙে যাওয়া শহর রক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে ২০১১ সালে আরও ব্লক তৈরি করে বাঁশ, বলি ও বস্তার চট রেখে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই ঠিকাদারের আর খোঁজ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্লক ধসে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলজ বৃক্ষের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেতাগী পৌরসভার শহররক্ষা বাঁধের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য আমরা একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি যা ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। ওই প্রকল্পে বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধও রয়েছে। নতুন করে আবার ব্লক দিয়ে বাঁধের কাজ শুরু করতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলেও তিনি জানান। ধারনা করা হচ্ছে, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ব্লকের কাজ শেষ হবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, জেলার চারটি ভাঙন কবলিত স্থানকে একটি প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুন মাসে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বেতাগী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, বেতাগীর পুরান বাজার ইতোমধ্যে বিষখালী নদীতে ভেসে গেছে। পৌর শহর রক্ষাবাঁধ দ্রুত নতুন করে পাইলিং দিয়ে ব্লক দিয়ে করা না হলে যেকোনো সময় তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা