শুরুর দিকে উপেক্ষা করলেও টিকা নিতে এখন উদগ্রীব সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মানুষ। গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলা কোভিডের টিকাদান কেন্দ্রে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে আগ্রহী মানুষের ভিড়। টিকা নিতে আসা মানুষজন জটলা পাকিয়ে ঢুকছেন কেন্দ্রে। মুখে মাস্ক পড়লেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানেন নি কেউ।
চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন টিকাদানে নিয়োজিতরা। দ্বিতীয় ধাপে গ্রাম-গঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় জনসাধারণ টিকা নিতে মরিয়া উঠেছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কখন আবার ভ্যাকসিন ফুরিয়ে যায় সে ভাবনায় আগে টিকা নিতে চাইছেন সকলেই।
সরেজমিন কোভিডের টিকাদান কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরো কেন্দ্র জুড়েই টিকা নিতে আসা প্রায় ৬ শতাধিক মানুষের ভিড়। মুখে মাস্ক থাকলেও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। এদের মধ্যে বয়স্ক নারী-পুরুষের সংখ্যাই বেশি। প্রত্যেকের সাথে এসেছেন একজন দু’জন করে সহযোগী।
ফলে টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। কেউ কেউ ‘মেসেজ’ না পেয়েও ভিড় করছেন হাসপাতালে। নিতে চাচ্ছেন টিকা। এদিকে টিকা নিতে আসা বিপুলসংখ্যক মানুষকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অনেকে টিকা দিতে না পারার অভিযোগও করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এখানে দু’টি বুথের মাধ্যমে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ টিকা নিচ্ছেন। গেল মঙ্গলবারও (৩ আগস্ট) ৫০২ জন ব্যক্তিকে দেয়া হয় টিকা।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, প্রথম ধাপে টিকা গ্রহণে জনসাধারণের আগ্রহ না থাকায় ফেরত দিতে হয় টিকার ডোজ। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন এতো মানুষকে সেবা দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
তবে, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। তখন এখানে মানুষের চাপ কিছুটা কমবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর