সাভারে বংশী নদীর তীরবর্তী এলাকায় নৌকা নিয়ে আসা ডাকাতদল ১৯টি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে। গতকাল রবিবার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে অলংকারের মালিক হ্রদয় রায় জানান, ডাকাতরা বাইরে থেকে লোহার রড দিয়ে চারি মেরে শাটার তোলার সময় ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই দেখি দোকানের বাইরে ও ভেতরে লোকজন দিয়ে ভরা। ডাকাতরা আমাতে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। দোকানের ভেতরে অবস্থান করা ৪/৫ জন লোক সবারই কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা ও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা লকার ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
অলংকারের মালিক আব্দুল্লাহর জানায়, দোকাদের ভেতর প্রতিদিন রাতে কর্মচারীরা ঘুমায়। ডাকাতরা লোহা দিয়ে শাটার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দোকানের কর্মচারী কৃষ্ণপালকে সাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। রাতেই আহতদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গভীর রাতে একদল ডাকাত বংশী নদীতে নৌকাযোগে নয়ারহাট এলাকায় আসে। এরপর তারা নদী তীরবর্তী এলাকার ১৯টি স্বর্ণের দোকানে হানা দেয়। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও বেঁধে দোকানে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়ার থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান জানান, নয়ারহাট বাজারের স্বর্ণপট্টিতে স্বর্ণের দোকানে কারিগরদের কাছে গচ্ছিত কিছু স্বর্ণ ডাকাতরা নিয়ে গেছে। মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষণার পর ডাকাতদল নৌকা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিনিধি/আবু জাফর