জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল থেকেও সব ধরনের বাস ও পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল এবং বিভাগের অপর ৫ জেলা সদর থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব রুটের যাত্রী এবং স্ব-স্ব এলাকার ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সরকারিভাবে লঞ্চের ভাড়া না বাড়লেও অভ্যন্তরীণ রুটের নৌ-যানগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে যাত্রীদের সাথে বসচা চলছে নৌযান শ্রমিকদের।
ভাড়া পুননির্ধারণ অথবা জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর দাবিতে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের আহ্বানে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বরিশালেও বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের যাত্রী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া দিয়ে থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য হালকা যানে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। যাত্রীদের দাবী তেলের দাম বৃদ্ধির খেসারত দিতে হচ্ছে জনসাধারনের। এতে চাপ পড়েছে তাদের উপর। বেড়েছে ভোগান্তি। প্রভাব পড়েছে সড়ক পথে পণ্য পরিবহনেও। ইতিমধ্যে প্রতিকেজি সবজিতে খুচরা পর্যায়ে গড়ে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে।
নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আশরাফুল আলম চুন্নু বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা দেয়া হলেই ফের বাস চলাচল শুরু করবেন তারা।
এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের নৌযানেও। সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলেও প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গন্তব্য বুঝে টিকিটে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ রুটের একটি লঞ্চের মাস্টার মো. নান্না মিয়া বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গন্তব্যে যেতে আগের চেয়ে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা জ্বালানি খরচ বেড়েছে। ভাড়া পুননির্ধারণ না হলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
বিডি প্রতিদিন/এএম