পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হা-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাগান থেকে লাবনী আক্তার (৫) নামে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাবনী উপজেলার কালাইয়া শিকদার বাড়ি ময়নুদ্দিন মদিনাতুল মনোয়ারা আরাবিয়া নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর কালাইয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মৃধার নাতনী লাবনী আক্তার খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে শিশুটিকে না পেয়ে লাবনীর মা সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ঘটনার ৫ দিন পর আজ সকালে কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর সুপরি বাগান থেকে শিশুটির হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালী বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লাবনীর মা সোনিয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমার মেয়েকে কেউ অপহরণ করে হত্যা করেছে। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির জানান, নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম