নাটোরের সিংড়ায় পুকুরের মাছ লুট করতে বাধা দেয়ায় দুই অংশীদারকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে অপর অংশীদারের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের আগপাড়া বিলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মূলহোতা জাহিদ হাসানসহ ৬ জনকে আসামি করে সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. নূর নবী।
অভিযোগ ও বাদী সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার শেরকোল লৈইলার বিলে দীর্ঘদিন ধরে ৫টি পুকুর চাষ করে আসছিলেন আগপাড়া শেরকোলের জাহিদ হাসান, কলম ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের মো. নূর নবী ও তার শ্যালক পৌর শহরের গোডাউনপাড়ার আলেপ হোসেন। ৫টি পুকুরে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মূলধন বিনিয়োগ করেন নূর নবী ও আলেপ হোসেন। কিন্তু স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় মাত্র দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সমান অংশীদার হন জাহিদ হাসান।
গত ২৬ আগস্টসহ ২ দিন গভীর রাতে পুকুরের মাছ লুট হয়। পরবর্তীতে গত বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে নূর নবী জানতে পারে কে বা কাহারা তার পুকুরের মাছ লুট করছে। বিষয়টি জানার পরে রাত সাড়ে ১১টায় পুকুরে উপস্থিত হয়ে দেখে তার পুকুরের অংশীদার জাহিদ হাসান, তার ভাই মো. হালিমসহ বেশ কয়েকজন পুকুরের মাছ লুট করছে। মাছ লুট করতে বাধা দেয়ায় নূর নবীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং তার ছেলে নুরে আলম সিদ্দিকী ও শ্যালক আলেপকে পিটিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী নূর নবী বলেন, আমরা তিনজন যৌথভাবে পুকুরে মাছ চাষ করি। কিন্তু আমাদের অংশীদার জাহিদ হাসান এর আগে দুইবার মাছ লুট করে। তৃতীয় বার লুটে বাধা দেয়ায় আমাদের পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আনোয়ার হোসেন ও শ্রী সোহাগ নামের দু’জন জেলে জানায়, জাহিদ হাসান নামে এক ব্যক্তি আমাদের তার পুকুরের মাছ ধরার জন্য বলে। আমরা তিনবার তিনটি পুকুরের মাছ ধরেছি। তৃতীয়বার রাতে মাছ ধরার সময় জানতে পারি জাহিদ হাসান একা পুকুরের মালিক না, আরও দুজন অংশীদার আছে।
অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, আমি তাদের সাথে একটি পুকুরের অংশীদার। বাঁকিগুলো আমি একা চাষ করি। সেগুলোতে মাছ ধরেছি। নূর নবীকে পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তারাই আমাকে এবং আমার ভাইকে মারপিট করেছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর