বগুড়ায় হোটেল মম ইন এর কনভেনশন হলে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ আয়োজিত “বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান উৎপাদন ও ভোগ বৃদ্ধি” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইউসুফ রানা মন্ডল।
হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম-পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের ডেপুটি-কান্ট্রি ম্যানেজার ড. এমএ সালেক, বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান, টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা আয়শা বেগম প্রমুখ। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশেন করেন হারভেস্ট প্লাসের সিবিসি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আবু হানিফা। কর্মশালায় অংশ নেন কৃষি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গবেষকরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, মানবদেহের জন্য জিংকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সবার পুষ্টি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে জিংকসমৃদ্ধ ধান। পুষ্টির চাহিদা পূরণে জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। জিংকসমৃদ্ধ দুটি জাতের ধান দেশে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আরও একটি জাতের ধান শিগগির কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাবে। উত্তরবঙ্গে কৃষকদের মধ্যে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ ও ব্রি-৮৪ জাতের ধানের চাষের আগ্রহ বেড়েছে। ব্র্রি-৭৪ জাতের ধান ১৪৭ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এতে প্রতি কেজিতে জিংকের পরিমাণ ২৪ দশমিক ২ মিলিগ্রাম। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ২৪-২৮ মন। এই চাল মাঝারি চিকন হয়।
অপরদিকে ব্রি-৮৪ জাতের ধান ১৪৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। এই ধানে প্রতিৎ কেজিতে জিংকের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম।
বিডি প্রতিদিন/এএ