রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঝিনা গ্রামের ইটভাটা এলাকার মোস্তাকীন আলীর পুকুরে ঝাঁপিয়ে প্রাণ দিয়েছেন এক যুবক।
রবিবার বিকালে ওই যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম- সবুজ আলী (২৮)। তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চকমাহাপুর গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের দাবি- মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন সবুজ। দীর্ঘদিন বাড়িতে শেকলে দিয়ে বেঁধে বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাকে। তার কান্নাকাটিতে কিছুদিন আগে ছেড়ে দেয় পরিবার। এরপর প্রতিদিনই সকালে বের হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতো।
রাজশাহীর বাঘা থানার উপ-রিদর্শক (এসআই) প্রজ্ঞাময় মন্ডল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রথমে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই যুবক। পরে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এরপরে আর তিনি উঠে আসতে পারেন নি। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে। এরপর তারা থানা ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন সবুজ। দীর্ঘদিন বাড়িতে শেকলে দিয়ে বেঁধে বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাকে। তার কান্নাকাটিতে কিছুদিন আগে ছেড়ে দেয় পরিবার। এরপর প্রতিদিনই সকালে বের হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতো।
সবুজ আলীর ছোট ভাই পারভেজ আলী বলেন, শেকলবন্দি অবস্থায় তার কান্নাকাটির কারণে কিছুদিন আগেই ছেড়ে দিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে ছাড়া পেয়ে তার ভাই এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা কখনও ভাবনায় ছিল না।
বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ঝিনা গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, মৃত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধারের পর জানতে পারেন সবুজ আলী মানসিক সমস্যা ছিল।
বাঘা থানার উপরিদর্শক (এসআই) প্রজ্ঞাময় মন্ডল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মানসিক সমস্যার কথা বলেছেন। এর পরেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন