যশোরে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত একটি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে উল্লুক, সজারু, অজগর, মেছোবাঘ, বনবিড়াল, বানর, হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জব্দ করেছে র্যাব। অবৈধভাবে এসব বন্যপ্রাণী রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাওড়ের পাশে ঝুমা চিড়িয়াখানায় বণ্যপ্রাণী অবৈধভাবে আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তারা সেখানে অভিযান চালান। চিড়িয়াখানাটি থেকে তারা একটি উল্লুক, একটি সজারু, একটি মেছোবাঘ, একটি বনবিড়াল, কয়েকটি বানর, হনুমানসহ বেশ কয়েক ধরণের পাখি জব্দ করেন। আটক করা হয় চিড়িয়াখানার ম্যানেজার শামছুদ্দিন সরদারকে। অভিযানে র্যাব ছাড়াও মণিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরে কৃষ্ণ অধিকারী এবং খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
মণিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরে কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, চিড়িয়াখানায় প্রদর্শনের জন্য এসব বণ্যপ্রাণী আটকে রেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ এর ৩৭(২) ধারায় অপরাধ করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক না থাকায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার (শ্বশুর) শামছুদ্দিন সরদারকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে।
বন বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ বলেন, অভিযান চলাকালে জব্দ করা বিভিন্ন ধরণের পাখি সাংবাদিকদের সামনেই মুক্ত করে দেওয়া হয়। বাকি প্রাণীদের জন্য যেখানে উপযুক্ত বন আছে, সেখানে তাদের অবমুক্ত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল