নাটোরে মাঘের শেষে দুই দিনের বৃষ্টিতে চৈতালী ফসলের উপকার হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষিবিদদের। কৃষিবিদদের ভাষ্য মতে, এই বৃষ্টি আম, গম ও রোপণকৃত পেঁয়াজের বেশি উপকার হয়েছে। বিশেষ করে আম, পেয়াঁজ, রসুন, মশুর, ছোলা, গম, বোরো ফসলের জন্য বড় উপকার হয়েছে মাঘের এই বৃষ্টি।
নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলের কৃষক আব্দুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাঘের এই বৃষ্টি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। হালতিবিলে রোপণ করা, পেঁয়াজ, রসুনসহ চৈতালী ফসলের ভাল ফলনের আশা করছেন তারা। তবে সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের কৃষক আমজাদ বলেন, দু’দিনের এই বৃষ্টিতে যে সব জমির সরিষা কাটা হয়নি সেসব জমির কিছু সরিষা হেলে পড়েছে। এতে করে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, মাঘের এই বৃষ্টি নাটোর জেলার সকল ফসলের জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছে। বিশেষ করে আমের খুব উপকার হয়েছে। আমের মুকুল ভালো হবে এবং ফলনও বেশী হবে।
এছাড়া পেয়াঁজ, রসুন, মশুর, ছোলা, গম, বোরো ও ভুট্টাসহ চৈতালী প্রায় সব ফসলের উপকার হয়েছে। যেসব ফসলের জমিতে বাড়তি সেচের প্রয়োজন ছিল, সে জমির উপকার বেশী হয়েছে। এদিকে জেলায় লাগানো ৭ হাজার একর জমির সরিষার সিংহভাগ কর্তন করা হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে সরিষা কাটা শেষ হবে। সরিষা কাটার পর ওই সব জমিতে বোরো রোপণ করা হবে। উঠতি এই সরিষা ফসলের মাথা ভাড়ি হওয়ায় হেলে পড়েছে। এই পরিমান খুবই সামান্য এবং তেমন ক্ষতি হবে না। এছাড়া এই বৃষ্টিতে লতানো গাছ মটরশুটি ও খেসারির ক্ষতি হবে না। দু’দিনের বৃষ্টির পর শনিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে করে জমিতে রোপণ করা ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এএম