রমজানের এক তৃতীয়াংশ সময় পেরিয়ে গেলেও নেত্রকোনায় এখনো জমেনি ঈদের বাজার। করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও এবারো নেই ঈদের আমেজ। তার উপর চলছে মেলা। এক প্রকার ক্রেতা শূন্য দিন পার করছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, এ বছর অন্যবারের তুলনায় জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় সবকিছু নাগালের বাইরে। দুটোর স্থলে কেউ কেউ একটি পোশাক কিনছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, বেশিরভাগ ক্রেতারা এসে দেখে চলে যান। অনেক সময় ক্রেতা শূন্য হয়ে বসে থাকতে হয়। করোনাকালে ক্ষতি কাটিয়ে দোকান ভাড়া ও শ্রমিক ভাড়া দিতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার কথা জানালেন তারা।
বাজারের দোকানি শরীফ আহমেদ ও নিহার রঞ্জনসহ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এমনিতে মহামারি কাল পার করেছে। তার উপর এবার শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টরেট মাঠে মাসব্যাপী মেলা চলছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন। ফলে জেলার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টাকাগুলো জেলায় থাকতো। মেলা হওয়ায় টাকাগুলো বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই মেলা বন্ধের অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলায় আসা দোকানি জিল্লুর রহমানসহ অন্যরা বলছেন, মেলা জমবে ২০ রোজা থেকে। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দেখাচ্ছেন তারা। ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে চাঁদরাত অর্থাৎ ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।
এ নিয়ে জেলার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ জানান, প্রায় প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের সাথে মনিটরিং চলছে। সকল কিছুর মূল্য বাড়তি। তবে করোনাকাল পার করে ব্যবসায়ীরা এখন কিছুটা ভালোর দিকে গেলেও নেত্রকোনায় মেলা চলায় স্থানীয়ভাবে ঈদের বাজারে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শুধু ব্যবসায়ীই নয়, ক্ষতি হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের।
এদিকে, মেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, করোনার জন্য মেলা দিতে আমরা পারমিশন দেইনি। পরে প্রেসক্লাব যাওয়ায় আমরা পারমিশনটা দেই। যে কারণে মাদার সংগঠন হিসেবে প্রেসক্লাব একটা বড় অঙ্কের অর্থ পাবে, যা ক্লাবের কোষাগারে জমা হবে। এছাড়াও লেডিস ক্লাব, জেলা মহিলা সংস্থা ও উইমেন্স কর্নারকে মেলা থেকে আয়টা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই