পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙনও শুরু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১৫ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১২.১০ সে.মি লেভেলে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ১.২৫ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ১ সপ্তাহ ধরে যমুনার পাশাপাশি আভ্যন্তরীন করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসগর, বড়াল ও ইছামতি নদীতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চৌহালী ও এনায়েতপুরে দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সোমবার দুপুরে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রামে একটি নান্দনিক তারকা মসজিদসহ প্রায় ১০টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সাথে চৌহালীতে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিস্তৃর্ন ফসলি জমি। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযান করছে। ফসলি জমি হারিয়ে অনেক নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এছাড়াও পানি বাড়তে থাকায় যমুনার চরাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব এলাকায় পাট, তিল, কাউন, ধান, শাক-সবজি বাগান তলিয়ে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অরক্ষিত অঞ্চলগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম