নাটোরে চার দিন ব্যাপী জাতীয় এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নাহিয়ান নক্ষত্র নামের এক শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। পরে একে একে শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা খাতুন, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায়, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ।
বাচ্চাকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর ফারজানা কেয়া নামে এক গৃহবধূ জানান, অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালাম। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। তাই সকাল সকাল বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি।
টুম্পা হাসান নামে আরেক অভিভাবক বলেন, বিভিন্ন কারণে পাঁচবার ভিটামিন খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। আজ কোনও ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই মেয়েকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়াতে পেরে ভাল লাগছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, আজকে থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হলো। এটি বিরামহীনভাবে আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আমরা প্রথমদিনই ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। আমরা আশা করি আপনারা যারা মিডিয়াকর্মী রয়েছেন, সরকারি কর্মচারি, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে সরকারের যে মহতি কর্মসূচি তা সফল করবো। নাটোর জেলায় সুস্থ ও সুন্দরভাবে কর্মসূচিটা সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।
সিভিল সার্জন রোজী আরা খাতুন জানান, জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৬,৪৭২ জন শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের একটি করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ২ লাখ ২৬ হাজার ৪৪২ জন শিশুকে একটি করে ২ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে। এজন্য জেলায় ১, ৩৮৮টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মাঠ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার ৯৮১ জন কর্মী আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়াতে পেরে খুশি অভিভাবকরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা