শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল উৎসবমুখর। নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোটকেন্দ্রও আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। এবার প্রথমবারের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পেরে খুশি ভোটাররা। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে। রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা পৌরসভার এটি দ্বিতীয় নির্বাচন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জমির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রহমত উল্লাহ খাজা। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ২৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে ৮ জনসহ মোট ৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাঘাইছড়ি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১৭১ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ছিলেন এক জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুই প্লাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন র্যাব।
বাঘাইছড়ির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান জানান, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই চিত্র ছিল রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলা চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মাঠে। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে উৎসবমুখর। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারধিকার প্রয়োগ করেন। কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ২ জন । চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আক্তার হোসেন মিলন। আর আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মারমা। এছাড়া সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৮ জন অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা