শেরপুরে মাদককের পৃথক দুই মামলায় মো. রাহিদুল খান ওরফে আহিদুলকে (৩৩) আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দিয়েছেন। মাদকের অপর মামলায় মো. শাকিল মিয়া (৩৪) নামে একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ হাজার হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দিয়েছে।বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন এই রায় দেন। দন্ডিত আহিদুল শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর মধ্যপাড়া এলাকার মো. আব্দুল খালেক খার পুত্র । শাকিল ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের মো. দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। তাদের মধ্যে আহিদুল পলাতক রয়েছে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
মামলা সূত্র জানান, ২০১৬ সালের ৯ মে বিকেলে পুলিশের বিশেষায়িত দল এপিবিএন (মুক্তাগাছা) এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চরখারচর বাজারসংলগ্ন চৌরাস্তা মোড় থেকে ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৬০ গ্রাম হেরোইনসহ স্থানীয় রাহিদুল খা ওরফে আহিদুলকে হাতেনাতে আটক করে। ওইসময় মনসুর খা ও উসমান আলী নামে তার ২ সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে ওইদিনই এপিবিএন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩০ জুন ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান আসামি আহিদুলকে এই সাজা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ২ সহযোগী আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
অপরদিকে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই র্যাব-১৪, সিপিসি-১ (জামালপুর) ঝিনাইগাতী সদরের ব্রিজপাড় এলাকা থেকে স্থানীয় শাকিল মিয়াকে ৫১০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে। একইদিন র্যাব মামলা দেয়। একই বছরের ৩ আগস্ট আদালতে শাকিলের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দাখিল করেন।দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ অভিযুক্তের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ