৬ জুলাই, ২০২২ ১১:৪৪

নেত্রকোনায় পশুর হাটে এখনও জমেনি বেচা-কেনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় পশুর হাটে এখনও জমেনি বেচা-কেনা

ঈদুল আজহায় এবারও কংশ নদীর পাড়ে বন্যাকবলিত নেত্রকোনায় জমে উঠেছে পশুর হাট। তবে জেলার ১০ উপজেলার হাটগুলোতে পশু বিক্রেতা এবং ক্রেতা সমাগম হলেও বেচা বিক্রি হচ্ছে কম। অনেকেই ঘুরে ঘুরে শুধু দেখে যাচ্ছেন। বলছেন দাম বেশি হাঁকায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বাজার। এমন চিত্র নেত্রকোনা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের মজুহাটি হাট, জেলার দুর্গাপুর, কেন্দুয়াসহ বিভিন্ন এলাকার। আবার যারা কিনতে পারছেন তারা পশু নিয়ে খুশিতেই বাড়ি ফিরছেন। তবে বিক্রেতারা জানান, পশু লালন পালনে খরচ বেশি হওয়ায় তারা সঠিক দাম পাচ্ছেন না। যে কারণে পশু বিক্রি করতে পারছেন না।

কেউ কেউ প্রথম দিন এসেই কিনে নিচ্ছেন কুরাবানির পশু। মাঝারি এবং ছোটগুলো বিক্রি হয়ে গেলেও বড় ধরনের গরুগুলোর ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। নেত্রকোনা জেলা সদর থেকে আসা ক্রেতা পলাশ আহমেদ জানান, তিন ঘণ্টা যাবৎ ঘুরছেন। এর আগেও দুটি হাট দেখেছেন। কিন্তু দামে বনছে না। যে কারণে পশু কেনা হয়নি। তাই হয়তো সামনের বাজারেও দেখতে হবে। 

অন্যদিকে বিক্রেতা শামছুল হক তার একটি ষাঁড় ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যেটির দাম ধরেছিলেন এক লক্ষ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার উপরে যাচ্ছেন না। গরু পালনে খরচ তুলতে পারবেন কিনা এবার এটি নিয়েই শঙ্কিত তিনি। অন্য আরেকটি বাজার ধরার আশায় চলে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত লস হলেও তাকে ছাড়তে হবে হয়তো এমনটি জানালেন হতাশ হয়ে ফেরা এই বিক্রেতা। 

তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল্লাহ জানান, জেলায় এবার চাহিদা ৯০ হাজারের মতো হলেও পশু রয়েছে ৯৫ হাজারেরও বেশি। যে কারণে কোনো সমস্যা নেই। বাজারে বাজারে ভ্যাটেনারি চিকিৎসকরাও রয়েছেন বলে জানান তিনি।
 
এদিকে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নেত্রকোনায় ৩১ টি স্থায়ী হাট রয়েছে। এছাড়াও যাচাই বাছাই শেষে ১২৩ টি অস্থায়ী হাট ইজারা দেয়া হয়েছে ঈদুল আজহায়। প্রত্যেক উপজেলায় বাজার মনিটরিং কমিটি রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদেরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর