একদিন পর রবিবার ঈদুল আযহা। যাদের এখনো পশু কেনা হয়নি তারা ছুটছেন হাটে। বাসায় রাখা পশু জবাই ও মাংস-হাড় কাটার অস্ত্র ঘসামাজা করে নেওয়া হচ্ছে। সাধ্যানুযায়ী যে যার মত কোরবানির আয়োজনটা গুটিয়ে এনেছেন প্রায়। ঈদুল আযহার কেনাকাটার তালিকার শেষটা রকমারি মসলা। গৃহিনীদের মসলার বায়না পূরণে কর্তারা ব্যস্ত মসলা কেনায়। তালিকা ধরে ধরে দোকান থেকে মসলা ক্রয় করছেন বাড়ির কর্তারা। আর এই সুযোগে তেতে উঠেছে মসলার বাজার। ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে প্রায় দিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মসলা।
জানা যায়, বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজার, রাজাবাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে এখন মসলার বাড়তি দামে বেশ উত্তাপ। সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এই মসলার দাম বাড়ানো হয়। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে এই মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
মসলা ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের বাজারে সাদা এলাচ, কালো এলাচ, দারচিনি, জিরা, তেজপাতা, ধনিয়া, লং, গোল মরিচ, আদা, রসুন, মরিচ, হলুদ, হলুদ ও মরিচের গুড়ো, পিয়াজসহ সব ধরনের মসলা জাতীয় পণ্য পাওয়া যায়। প্রত্যেক কোরবানির ঈদেই একটু করে মসলার দাম বেড়ে যায়। এবারো তেমনটা হয়েছে। কিছু মসলার দাম বেশি বেড়েছে। আবার অনেক মসলার দাম তেমন একটা বাড়েনি। কিছু কিছু মসলার দাম স্থিতি রয়েছে। বর্তমানে রকমভেদে প্রতিকেজি সাদা এলাচ আগে বিক্রি হয়েছে ১১০০ টাকা কেজি ঈদ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা, কালো এলাচ আগে ৮০০ টাকা এখন ঈদ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকা, দারচিনি ৩২০ টাকা, জিরা ৩৮৫ টাকা, কিশমিস ৩৮০ টাকা, তেজপাতা ১৪০ টাকা, গোল মরিচ ৫৫০ টাকা, লবঙ্গ ১০৫০ টাকা, বজ ১০০০ টাকা, ধনিয়া ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলত সব মসলার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
গোলাম রব্বানী, আব্দুল কাদের, খোরশেদ আলম, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টুসহ একাধিক ক্রেতা জানান, হাতে সময় নেই। মসলা কেনাকাটা শেষ করতে হবে। তবে প্রত্যেক দোকানে পর্যাপ্ত পরিমান মসলা থাকলেও দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেন । তাই প্রয়োজন অনুযায়ি সব আইটেমের মসলা কম বেশি কিনতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ