বরিশাল বিভাগের সব নদ-নদী পানিতে থৈ-থৈ করছে। এখনও বিভাগের ৮ নদীর পানি ১০টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডিংয়ের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, বিকেলে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টে ১.০৭ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ সংলগ্ন বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, একই নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়েএবং পিরোজপুরের কঁচা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়া, গত কয়েক দিনের টানা বৃস্টি এবং পূর্নিমার জোর প্রভাবে নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাটির সময় পানি কমছে বলে বরিশাল পাউবো’র মিটার গেজ রিডার মো. মাসুম জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ