চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এতে হতাশ হয়েছেন জেলেরা। এজন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন জেলেরা। তবে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাত হলেই নদীতে ইলিশের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে নতুন নতুন প্রকল্পের কথা জানান জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা।
জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য মতে, চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তার মধ্যে মৃত এবং অপেশাদার জেলেদের চিহ্নিত করে প্রকৃত জেলের তালিকা হালনাগাদ করে সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জেলে কুদ্দুছ আলী ও কামাল দেওয়ান বলেন, আমরা অধিকাংশ জেলেরাই ধার-দেনা করে জাল, জ্বালানি, লোকবল, নৌকা ও সরঞ্জামাদি নিয়ে নদীতে নেমেছি। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে আমাদের জ্বালানি খরচ উঠে আসছে না। এতে করে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন ও কিস্তির টাকা নিয়ে নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশের ভরা মৌসুম জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বর্ষাকালে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এসময় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাত হলে নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেলে চাঁদপুরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে। এছাড়া জেলেদের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প বরাদ্দেরও আশ্বাস দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই