চিকিৎসা বিদ্যায় নেই কোন পড়াশোনা। তবুও তিনি চিকিৎসক। তার ভিজিটিং কার্ডে লিখেছেন চিকিৎসা বিদ্যার নানা ডিগ্রির লম্বা লাইন। তার চিকিৎসাপত্রের প্যাডে নিজেকে মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে নাম ছাপিয়েছে। তিনি ডিগ্রি লেখেছেন এমবিবিএস ঢাকা। পিজিটি শিশু। সিসিডি বারডেম। এফসিপিএস মেডিসিন। এ ডিগ্রি ও বিদ্যার পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা প্রদানের নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মাসুদ আহমেদ নামের এক যুবক।
তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন। মধুপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে অবস্থিত ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি রোগীদের চিকিৎসাপত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা দিলে রোগীরা অন্যান্য ক্লিনিকে পরীক্ষা করাতে যান। তখন স্থানীয় ক্লিনিকের লোকজনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের সন্দেহ ঘনিভূত হলে তারা প্রশসানকে গোপনে সংবাদ দেন।
বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান পুলিশসহ ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে তার ডাক্তারি পড়াশোনার কোনো সনদপত্র দেখাতে চান। কিন্তু তিনি তা দেখানে না পাড়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে ক্লিনিকের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মাসুদ আহমেদ বরিশালের মুলাদি উপজেলার বানীমর্দান গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাসুদ আহমেদ মেডিকেলে পড়াশোনা করেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ডায়াগনস্টিকের মালিককেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ