সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৫তম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার সকালে সিডরের মৃত্যুপুরী বাগেরহাটের সাউথখালীর মানুষ বলেশ্বর নদীর ভাঙন প্রতিরোধে নদী শাসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। নদী শাসন আন্দোলন কমিটির ব্যানারে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীর গাবতলা বেড়িবাঁধের উপর দাঁড়িয়ে শতশত মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নদী শাসন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিলন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ইমরান হোসেন রাজিব প্রমুখ। পরে সিডরে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী সুপার সাইক্লোন সিডরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়ন। বলেশ্বর নদীর পাশে সাউথখালীতে প্রায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া শতভাগ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের কারণে ওই ইউনিয়নটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল সবচেয়ে বেশি। একারণে মৃত্যুপুরি সাউথখালী নামটি সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে যায়। এসময় সিডর পরবর্তী শরণখোলাবাসীর দাবি ছিল ‘ত্রাণ চাই না, নদী শাষন করে টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’। কিন্তু সিডরের ১৫ বছর পর সরকার তিনশত কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মিত হলেও নদী শাসন না করায় সে বাঁধও এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে।
সাউথখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেসুর রহমান ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন, রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, এলাকাবাসীর দাবিতে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বেড়িবাঁধ নির্মান কাজ সাত বছরেও শেষ করতে পারেনি। এছাড়া বগী, গাবতলা, রায়েন্দা গ্রাম, আমতলী পয়েন্টে নদী শাসন না করলে নির্মিত বেড়িবাঁধ আবার ভাঙনের মুখে পড়ছে। ওইসব স্থানের বাঁধে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই নদী শাসন না হলে কোনোভাবেই এই বেড়িবাঁধ টিকবে না। এছাড়া পাউবোর বিশেজ্ঞ দল পরিদর্শন করে নদী শাসনের আশ্বাস দিলেও এর কোনো বাস্তবায়ন না দেখে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল