আট বছর পর আগামীকাল ১৬ নভেম্বর শেরপুর শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহু কাঙ্খিত এই সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। কদিন ধরে শহরে মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ চলছে। তোরণ ফেস্টুনে ভরে গেছে শেরপুর সদর থেকে শ্রীবরর্দীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের পথ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদকে ঘিরে অসংখ্য প্রার্থীর পদচারণায় এখন মুখরিত উপজেলা। এতো সংখ্যক প্রার্থী হওয়াতে ঘরে ঘরে প্রার্থী বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১৩ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে আশরাফ হোসেন খোকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোতাহারুল ইসলাম লিটন নির্বাচিত হন। আগামীকাল সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অন্তত ২ ডজন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। প্রার্থীদের মধ্যে কারো কারো বিরোদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পরিবার, অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রীড, নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে বিতর্কিতরাও রয়েছে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, জীবনে কখনো আওয়ামী লীগ করতে দেখি নাই। ছাত্রলীগ করার যোগ্যতা নাই, মূলদলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হতে লবিং করছে। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগে একাধিক বিবাদমান গ্রুপ থাকায় সম্মেলনে বিশৃংখলার আশংকা করছেন অনেকেই। তবে শ্রীবরদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তৎপর আছে।
আশরাফ হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল। উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হুইপ আতিউর রহমান আতিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় এমপি এ. কে. এম ফজলুল হক চান, অসীম কুমার উকিল এমপি, মারুফা আক্তার পপি, উপাধাক্ষ্য রেমন্ড আরেং। প্রধান বক্তা হিসিবে থাকবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদন অ্যাড. চন্দন কুমার পাল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল