নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অটোরিকশায় যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়ে দুপুর গড়ায়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এরপরে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে মোহনগঞ্জের বিরামপুর অটোস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িতে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়।
এছাড়ও প্রায় অর্ধশত দোকানপাট ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা। ৩০-৪০টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে রাবার বুলেট ছোড়ে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনে এসে যাত্রীরা নামেন। পরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার কয়েক যাত্রী রিজার্ভ অটোরিকশা ভাড়া নিতে গেলে সিএনজি ও অটোরিকশার মালিকের মধ্যে কে যাত্রী নেবে, এই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে ঝগড়া শুরু হলে স্ট্যান্ডের সিএনজি অটোরিকশার মালিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উভয়পক্ষ গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। একপর্যায়ে বিরামপুর ও বরকাশিয়া দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই বিরোধ। ধীরে ধীরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে। কিন্তু ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির জন্য সংঘর্ষের এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন না তারা। পরে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি, মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এদিকে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগে সংঘর্ষ থামাই, পরে বলছি কতজন আহত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিও বলেন, আমরা সংঘর্ষস্থলেই রয়েছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। শেষ হলে বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই