বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নতুন ঘোষিত আংশিক কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও অপহরণকারীরা স্থান পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এছাড়া আর্থিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির কারণে অযোগ্যদের কমিটিতে স্থান, অনেক নেতৃবৃন্দরা কখনো মিছিল-মিটিং করেনি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন পদবঞ্চিত নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া সদর ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ সরকার স্বপন। এতে জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের অযোগ্য কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্যদের মূল্যায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজপথে পরিশ্রম করেছেন তাদের অবমূল্যায়ন করে অযোগ্যদের নিয়ে বগুড়ায় পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধুমাত্র অর্থের দাপটে বাণিজ্যিক উপায়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজ, মাদকসেবীরা এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। অযোগ্য এই কমিটিতে কিছু যোগ্য ছাত্রনেতাদের জায়গা দিয়ে সম্পূর্ণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা চাই, একটি সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্যদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মূলত এরপর থেকেই যোগ্যদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই