কৃষকের বৃহত্তর স্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিদ্যমান সার নীতিমালা ২০০৯ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন গাইবান্ধা জেলা ইউনিট। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম রিপন। তিনি বলেন, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ বাতিল করে ২০০৯ সালের নীতিমালার ভিত্তিতেই ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে। একই পরিবারের বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাইয়ের আলাদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে এবং সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে সক্ষম হলে তাদের ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজনের পরিবর্তে দুইজন ডিলার রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ডিলারশিপ পরিচালনা, পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি। তাদের মতে, পরিবহন খরচ ও কমিশন না বাড়ালে নতুন সমন্বিত নীতিমালা কার্যকর করা সম্ভব নয়। এছাড়া ভর্তুকি মূল্যে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহকৃত সারের ওপর কোনোভাবেই আগাম কর আরোপ করা যাবে না।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়ন হলে সারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দাম বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের নেতারা জানান, নন-ইউরিয়া সার কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি সুদেব কুমার চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, সহ-সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হাসান এমরান, সদস্য রেজাউল করিম ও সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ হক্কানী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল