২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:২৩

মৃতকে জীবিত দেখিয়ে জমির দলিলে স্বাক্ষরের অভিযোগ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মৃতকে জীবিত দেখিয়ে জমির দলিলে স্বাক্ষরের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর জীবিত দেখিয়ে জমি বিক্রির দলিলে স্বাক্ষর করিয়েছেন দুই দলিল লেখক। এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে দুই পক্ষের শুননি ছিলো বলে জানিয়েছেন ইউএনও ফারজানা আলম। এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে দলিল লেখক এম.এ লতিফ ও আবু হানিফের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের মেয়ে নাজমুন নাহার। উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু সনদ অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ মজিবর রহমান মারা যায় এবং ২০১৯ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর মাসে তাকে জীবিত দেখিয়ে ২৭ শতাংশ জমি বিক্রির দলিলে স্বাক্ষর দেখানো হয়। পিতার জাল স্বাক্ষর দেখিয়ে জমি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ হলে জমির প্রকৃত ওয়ারিশগণ অসহায় হয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমাধান না পেয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও দলিল লেখকের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার বড় মেয়ে নাজমুন নাহার।

দলিল লেখক এম.এ লতিফ বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে কেউ যদি দলিল লেখিয়ে নেয় সে ক্ষেত্রে আমরা অসহায়। তবে এ নিয়ে আগেও একবার আপোষ মীমাংসা হয়েছে। নতুন করে আবারও মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন দায়িত্বও নিয়েছেন।

এ বিষয়ে তৎকালিন সময়ের উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার ডা. স্বপ্না বিশ্বাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবকে কমান্ডার এম.ও গনি বলেন, মারা যাওয়ার পর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে জীবিত দেখানো এবং তার  সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ঘটনায় আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। 

উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় নিয়ে যেহেতু ইউএনও ম্যাডামের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম বলেন, এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে তিনবার ডেকেছি কিন্তু বিবাদী পক্ষ অর্থাৎ দলিল লেখকরা কেউ শুনানিতে আসেনি। এটা যে জাল দলিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর