নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীর (১৮) আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রেমিকসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো-জেলার সুবর্ণচর উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. ইউনুছের ছেলে তানভীর আহম্মেদ শুভ (২২), একই ইউনিয়নের হাজী মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার ইসলাম নাঈম (২০) ও সদর উপজেলার দালাদরাপ ইউনিয়নের খুরশিদ আলমের বাড়ির আবদুল মালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম সৈকত (১৯)। এর আগে, রবিবার উপজেলার মাইজদী পাবলিক কলেজ মাঠ থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম একই কলেজে পড়ার সুবাদে আসামি তানভির আহমেদ শুভর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুভ ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সাহায্যে নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে তার মুঠোফোনে পাঠাতে বলে। ভিকটিম আসামির প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে নগ্ন ভিডিও আসামিকে প্রেরণ করলে আসামি ভিকটিমের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।পরে আসামি শুভ ভিকটিমের নগ্ন ছবি-ভিডিও আরিফুল ইসলাম সৈকত ও জুলফিকার ইসলাম নাঈমসহ কয়েকজন যুবককে প্রেরণ করে। ভিকটিম বিষয়টি জানতে পেরে শুভর সাথে যোগাযোগ করলে শুভ ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করতে প্রেমিকার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। রবিবার ভিকটিম সদর উপজেলার মাইজদী পাবলিক কলেজ মাঠে উপস্থিত হলে সেখানে সৈকত ও নাঈমকে দেখতে পায়। একপর্যায়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আসামি তানভীরের হেফাজত থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
