২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:২৮

উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত

শীত মোকাবিলায় প্রয়োজন পর্যাপ্ত বস্ত্রের

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। প্রায় প্রতিদিনই রাতের তাপমাত্রা কমছে। শীতজনিত রোগবালাইও বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। তবে শীত মোকাবিলায় প্রতিটি জেলায় গড়ে ৫২ থেকে ৫৪ হাজার শীত বস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। ওই সব বস্ত্র ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরগুলোতে পাঠানো হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। অসহায় ও দরিদ্রদের শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত শীত বস্ত্র প্রয়োজন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীত এই অঞ্চলে হানা দিতে শুরু করেছে। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার শীতের তীব্রতা অনেক বেশি হবে এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় যে পরিমাণ শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল, তার বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে  ৫২/৫৪ হাজার। প্রতিটি জেলায় গড়ে চাহিদা ১ লাখ পিস শীত বস্ত্র। এর বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে অনেক কম। এসব শীত বস্ত্র ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের সংখ্যা গড়ে ২ লাখের ওপর। উত্তরের ১৬ জেলায় কমপক্ষে ৩০ লাখের বেশি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে। অথচ বরাদ্দ এসেছে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকের অনেক কম। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে আসেনি। সচেতন মহলের দাবি, শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এখনই এগিয়ে না এলে করোনাকালে চরম দুর্ভোগে পড়বে শীতার্ত মানুষ।

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ কামরুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সেই সাথে কিছুটা হিমেল হাওয়াও বইছে। তাপমাত্রা আরো কমবে বলে তিনি জানান। 

রংপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোতহার হোসেন জানান, সরকারিভাবে ৫৪ হাজার কম্বল ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যেগুলো বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর