হাওর অধ্যুসিত নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা চলছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চলছে মাত্র ১৯ শয্যায়। ৩১ শয্যার ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ রোগীসহ স্থানীয়দের। ফলে ঝুঁকিতেই সেবা নিতে আসছেন হাওর জনপদের মানুষ। এতে সেবা দেওয়া ব্যহত হচ্ছে স্বীকার করে চিকিৎসকদেরও দাবি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাওরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু গত প্রায় এক দশক ধরে দেয়াল ধসে পড়াসহ জরাজীর্ণ অবস্থা আর পলেস্তরা খসে খসে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীসহ স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের সেবা দানকারী সকলে। এদিকে গত ২০১৫ সালে সেবার মান উন্নীত করণের লক্ষ্যে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করতে ১৯ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে ওই ভবনে এখন আশ্রয় হয়েছে সকলের।
দেয়াল ধসে পড়ায় সকল রোগীদের সরিয়ে নেওয়াসহ অন্যান্য সকল কার্যক্রমও চলছে এই ১৯ শয্যার ভবনেই। এদিকে ঝুঁকি নিয়েই সেবা নিতে আসছেন দূর দূরান্তের রোগীরা। এখানে পার্শ্ববর্তী খালিয়াজুরী, কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলার মানুষও আসেন সেবা নিতে।
যে কারণে ৫০ শয্যার সেবা চলছে এখন ১৯ শয্যার ভবনে। কর্তৃপক্ষের নেই কোনো দৃষ্টি। চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন সেবা দিতে। আতঙ্কে রোগীরা। টিকাদান, প্যাথলজি আইসোলেশনসহ সকল কার্যক্রম রয়েছে বন্ধ। পুরোপুরি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছে ৩১ শয্যার ভবনটি। দ্রুত এর ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে নিজেরাও ঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ কে এম রিফাত সাঈদ আরও নানা সমস্যার কথা তিনি নিজেও তুলে ধরে জানান, স্থানীয় রাজনৈতিকসহ উর্ধ্বতন কর্তপক্ষও জানেন এই হাসপাতালের অবস্থা। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) বারবার উপর মহলে লিখিতভাবে পাঠিয়েছেন। এখনো কিছু হচ্ছে না। তবে এই হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়ে গেলে সেবা দেয়া নিয়ে আর কোনো ঝামেলা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল