যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম নিজ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তাকে জীবননাশের হুমকি ও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মা তুলে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়।
রবিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
কেশবপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুজহারুল ইসলাম মন্টু, অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, গোলাম মোস্তফা, গোলাম রসুল ও ইজাহার আলী খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ১ ডিসেম্বর দুপুরে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলমগীর সিদ্দিকী টিটু ২০-২৫ জনকে সাথে নিয়ে তাকে আক্রমণ করে, হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়া তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মা তুলে অকথ্য গালিগালাজ করে। এসময় তার চিৎকারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের উপজেলা চত্বর থেকে বের করে দেন। এ ব্যাপারে তিনি কেশবপুর থানায় আলমগীর সিদ্দিকী টিটু, জামাল ও মাসুদসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত টিটুর মামা কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, আলমগীর সিদ্দিকী টিটু কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সম্প্রতি কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম টিটুর বাবা-মা সম্পর্কে কটু কথা বলেন। টিটু উপজেলা পরিষদে গিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে কাজী রফিকুল ইসলাম পায়ের জুতা খুলে তাকে মারতে যান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই