শিরোনাম
- শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সিভাসু’র অধ্যাপক হুমায়ুন
- কেন শান্তিতে নোবেল পাবেন না ট্রাম্প, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- কালকিনিতে গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন, দোষীদের শাস্তি দাবি
- সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
- পাকিস্তানকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
- নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা
- আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে শুরু হচ্ছে গ্র্যান্ড সুফী নাইট
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩২
- কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার
- মানুষের আস্থা অর্জন করাই বিচার বিভাগের কাজ : প্রধান বিচারপতি
- হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ
- সারা দেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪৪
- নির্বাচনে গাদ্দাফির অর্থ ব্যবহার, দোষী সাব্যস্ত সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি
- গাজা ইস্যুতে ২১-দফা নতুন পরিকল্পনা ট্রাম্পের
- বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় ট্রাকের হেলপার নিহত
- ভারতে আটক ১০ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
- ক্যাম্পবেলটাউনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে মতবিনিময়
- দিনাজপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
- চুয়াডাঙ্গায় ৬৫০ গ্রাম দানাদার রুপা জব্দ
- নওগাঁয় ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর
এক প্রদর্শনীতে ধান শাক-সবজি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

উপকূলীয় অঞ্চলে যে ধান উৎপাদন হয়, তা হয় না বরেন্দ্র অঞ্চলে। আবার নদী সমতল অঞ্চলে যে শাক-সবজি পাওয়া যায় তার সবটাই পাওয়া যায় না হাওর অঞ্চলে। তবে রাজশাহীতে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে এই চার অঞ্চলের ধান, ওষুধি গাছ ও শাক-সবজির পরিচয় পাওয়া গেছে।
রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দুই দিনের যুব জলবায়ু সম্মেলনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বরেন্দ্র অঞ্চল, নদী সমতল অঞ্চল, হাওর অঞ্চল এবং উপকূল অঞ্চলের চারটি স্টল ছিল। এলাকাগুলোর ফসল, শাক-সবজি আর ঔষধি গাছের নমুনা রাখা হয়েছিল স্টলগুলোতে।
হাওর অঞ্চলের স্টলে দেখা গেল ময়নামতি, রাঁধুনী পাগল, আর পারি না, খাইনল, বজ্যমুড়ি, মালা, স্বর্ণলতা, বিন্নি, বৌ সোহাগী, ঝাপি বোরো, পাইরজাত, পাখি বিরইন, পংখীরাজ, মধুশাইল, সুবাশ, মালশিরাসহ নানা নামের ধানের নমুনা পাত্রে পাত্রে সাজানো। মোটা কাগজের ওপরে লাগানো ছিল লইটা, কায়াকুলি,গাধাপুঁই, গাইগুয়াল্যা, রাধাতুলশিসহ নানা রকম শাক ও ওষুধি গাছ। কোনটি শাক আর কোনটি ওষুধি গাছ তাও লেখা ছিল।
উপকূলীয় অঞ্চলের স্টলে দেখা গেল দিশারী, বাঁশফুল, কলমিলতা, চারুলতা, নারকেল মুড়ি, সুভাষ, চিনিকানি, মরিচশাইলসহ নানা নামের ধান। ছিল ওই এলাকার সব দেশীয় সবজির বীজ এবং নানারকম শাকও। নদী সমতল অঞ্চলের স্টলে ছিল নানা রকম সবজির বীজ, ধান ও ওষুধি গাছের প্রদর্শনী। বরেন্দ্র অঞ্চলের স্টল দিয়েছিলেন উন্নত চুলার আবিষ্কারক রাজশাহীর তানোরের কবুলজান খাতুন। তার স্টলে নানা রকম ধানের পাশাপাশি নানা আকার ও নামের উন্নত চুলাও রাখা হয়েছিল। ছিল এ অঞ্চলের সব ধরনের শাক-সবজির বীজও। বিভিন্ন স্থান থেকে সম্মেলনে যোগ দেওয়া যুবরা প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন।
মঙ্গলবার এই সম্মেলন শুরু হয়েছিল। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) ও বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরাম ‘ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার, জলবায়ু সুবিচার’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে জলবায়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ, সাংবাদিক শরীফ সুমন, বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, প্রকৃতি গবেষক পাভেল পার্থ, বারসিকের গবেষক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরামের আহŸায়ক শাইখ তাসনীম জামাল।
বিডি প্রতিদিন/এএম
এই বিভাগের আরও খবর