কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত এ জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কয়েক দিনের হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। উত্তরের কনকনে শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়ছে ছিন্নমূলের খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস কাঁপিয়েছে দিনাজপুরের মানুষকে। দুপুরের পর থেকে রোদের দেখা মিললেও কনকনে শীতল বাতাসের কারণে দিনের তাপমাত্রাও বাড়ছে না। আবার সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ছে।
দিনাজপুর শহরের ষষ্টিতলা মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা শীতে বসে-দাঁড়িয়ে অলস সময় পার করছেন। কেউবা জড়োসড়ো হয়ে বসে আছেন, কেউবা জটলা বেধে নিজেদের নিত্যদিনের অভাবের গল্প করছেন।
এ সময় রহিম, জাফরসহ কয়েক শ্রমিক জানান, একদিকে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ কমে গেছে, অন্যদিকে শীতের কারণে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। গত এক বছরে তাদের মজুরি বাড়েনি, কিন্তু সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ফলে অল্প মজুরিতে এমনিতেই সংসার চলে না। তার ওপর এখন শীতের কারণে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় কাজ না পেয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুপুর পর্যন্ত সূর্য মেঘে ঢাকা ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত