আজ শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ছেড়ে যায়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী দুইটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অনুমতি পাওয়া জাহাজগুলো হলো- এমভি রাজহংস এবং এমভি পারিজাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত দুটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার্থে কিছু শর্তও দেয়া হয়। সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজগুলো নিরাপদে ফিরে আসার পর অনুমতি সাপেক্ষে বাকি যাত্রীবাহী জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে।'
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, 'এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস পরীক্ষামূলকভাবে অনুমতি পেয়েছে। জাহাজটি দুটির একটিতে ৫২৫ জন এবং অপরটি ৪১০ জন যাত্রী ধারণের ক্ষমতা সম্পন্ন। প্রথম দিন দুটি জাহাজে করে সাড়ে ছয়শোর মতো পর্যটক সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে গেছে।
তিনি আরও বলেন, 'তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় টিকিটের মূল্য আগের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫০-২০০ টাকা বাড়ানো যেতে পারে। পরে তেলের দাম কমলে টিকিকের মূল্যও কমানো হবে।'
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, পর্যটন মৌসুমের আর মাত্র ২ মাস সময় বাকি আছে। এই ২ মাসে আমরা পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে আনন্দ দিতে চাই। টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে অনেক শিক্ষার্থী ভ্রমণ করে। আবার অনেক অসচ্ছল লোকজনও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাই। জাহাজ মালিকদের আমরা অনুরোধ করবো যারা অক্ষম তাদের টিকিট মূল্যে বিবেচনা করতে। সর্বোপরি আমরা আশা রাখছি পর্যটকরা নিরাপদে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবে।'
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও নাফ নদীর নাব্যসংকটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ