বরগুনার পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব লাকুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী ১৪ ঘণ্টা পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টি.এম.শাহ আলম। ৮ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর নাম ফারজানা।
১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় চত্বর থেকে বর্জ্য - কাগজ কুড়িয়ে এনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ফারজানার শীতের কাপড়ে আগুন লেগে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের ৯০ ভাগই আগুনে দগ্ধ হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক ইউনিটে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ফারজানার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর স্বজন আর সহপাঠীদের মধ্য চলছে শোকের মাতম।
ফারজানার বাবা ফারুক একজন অটোচালক। মা কলি আক্তার চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক। ফারজানা ৩ ভাই বোনের মধ্য দ্বিতীয়। নানা বাড়িতে থেকে সে পড়াশোনা করতো।
ফারজানার নানা কামাল হোসেন সোনা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু। বাচ্চারা খেলা করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেয়া শিক্ষকদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা