বগুড়ায় লাশ উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিচয় মিলেছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম বেরাগাড়ীর সরিষাক্ষেত থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ছয়দিন পর তার পরিচয় পাওয়া গেছে।
বুধবার নন্দীগ্রাম থানায় এসে ওই তরুণীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন এক নারী। ফরিদপুরের সদরপুর থানার ভাষাণচর এলাকার নূর নাহার নামের ওই নারী থানায় এসে ছবি ও আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মরদেহটি নিজের নিখোঁজ মেয়ে শারমিন আক্তার বলে দাবি করেন। পুলিশ বলছে ওই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
নূর নাহার জানান, আমার মেয়ে গত ২ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়। পরে ১০ জানুয়ারি সদরপুর থানায় এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। এরমধ্যে ১৫ জানুয়ারি রাতে আমরা জানতে পারি নন্দীগ্রামে এক তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা থানায় ছবি পাঠিয়ে দেই। থানা থেকেও ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন দেখি ছবি দুটি একই। তখন বুঝতে পারি এটি আমার মেয়ে শারমিন আক্তার।
তিনি আরও জানান আমার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শারমিন বড়। সদরপুর থানার ভাষাণচর নতুন বাজার এলাকার একটি স্কুলে শারমিন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এলাকার এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকার কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরেও সে ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করতো। আমার ধারণা তারাই আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন পেতে আনেক সময় লাগবে। তবে এই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম