পাবনার বেড়ায় ৩ লিটার দেশি মদসহ আটক এক ‘মাদক ব্যবসায়ীকে’ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের বিরুদ্ধে। বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীন নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেড়া মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহীন ও এএসআই আনোয়ার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের রাকসা বাজারে অভিযান চালিয়ে বাশার ফকির (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৩ লিটার দেশি মদসহ আটক করা হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ, ঘটনাটি আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাকসা বাজার থেকে বাশার ফকিরকে ৩ লিটার মদসহ আটক করে এসআই শাহীন। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকার দাবি করেন। দরকষাকষির এক পর্যায়ে আসামি বাশারকে ছেড়ে দেন পুলিশ। বাশার ফকির উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সাইফুল্লাহপাড়ার মৃত হজরত আলীর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশার ফকিরকে মদসহ আটক করেন এসআই শাহীন এবং এএসআই আনোয়ার পরে তাকে তার পরিচিত কয়েকজন ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে পাঁচ হাজার টাকার দাবি করেন এসআই শাহীন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান নিজেই তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বাশারকে ছাড়িয়ে রাখেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমানের সাথে কৌশলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে আসামি ছাড়িয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার এসআই শাহীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মদ পাওয়া গেছে, তবে পারিবারিক কোন ঝামেলার জন্য বাশার ফকিরকে ফাঁসাতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল বলে প্রমাণ হয়েছে। এলাকার লোকজন সাক্ষ্য দেয়ায় বাশারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, আমি সন্ধ্যায় শুনলাম বাশারকে পুলিশ মদসহ ধরেছে, পুলিশকে আমি বলেছি মাদকের পক্ষে আমার কোন সুপারিশ নেই। যার কাছে মাদক পেয়েছে তাকে তো আটক করবেনই এবং যে রেখেছিল তাকে আটক করবে। কিন্তু ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আমি শুনতে পারি, পুলিশ আসামি ছেড়ে দিয়েছেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান খান (আসাদ) জানান, যে সোর্স খোঁজ দিয়েছিল তাকেই আমরা খুঁজছি। বাশারকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর জন্য সোর্স মদ রেখেছিল।
মদ জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে সোর্সকে আটক করলেই তাকে মদ দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এস আই শাহীন টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ