মধু মাসের স্বাদ নিতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। তবে আগেভাগেই প্রকৃতিতে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। বগুড়ায় গাছে গাছে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে জেলাজুড়ে।
জানা যায়, বগুড়ার সদর উপজেলা, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, কাহালু, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, ধুনট, সারিয়াকান্দি, ও সোনাতলাসহ অন্যান্য উপজেলার ছোট-বড় আমের বাগানগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। আমের গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের মৌ মৌ পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। যদিও প্রতিটি ফলের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের ভালো ফলনের আশা করছেন বাগানের মালিকরা।
মৌসুমের শুরুতে মুকুল দেখা দিয়েছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের গাছের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেতে শুরু করেছে। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। তবে গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা। বগুড়া শহরের অনেক বাড়িতেই নিজ উদ্যোগে শখের বসে ছাদ বাগান করেছেন মালিকরা। এখানে ছোট-বড় বাগানগুলোতে রয়েছে আ¤্রপালি, লেংড়া, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২, ফজলি, নাগ ফজলিসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের গাছ।
নিজ উদ্যোগে ছাদ বাগান করেছে শহরের সুত্রাপুর এলাকার আখতারুজ্জামান তুষার। তিনি জানান ৩ বছর যাবত তিনি ছাদ বাগান করেছে। এখানে বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। বাড়ির চাহিদা মিটিয়ে তিনি বাজারেও বিক্রি করে থাকে। তার গাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আমগাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তার আমের ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার আমচাষি মকবুল হোসেন জানান, তার বাগানে ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের ১৫০টি আম গাছ রয়েছে। সব আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেছেন তিনি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বাগানে এসে ভালো ফলন পাওয়ার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ভালো ফলন পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম