কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে এরকম আশঙ্কার কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে মাঠে রয়েছেন দুইজন বিদ্রোহী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান শাহীন। বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুল মমিন মজুমদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য (কাপ-পিরিচ) মো. হারুনর রশীদ মজুমদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী তিনজন হলেও লড়াই হবে মূলত নৌকা ও আনারসের মধ্যে।
সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৪ প্রার্থী।
আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মমিন মজুমদার বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্র দখলের হুমকি দিচ্ছে। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। প্রশাসনের ওপর আমাদের আস্থা আছে। প্রশাসন ঠিক থাকলে আশা করি একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল হাসান শাহীন বলেন, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইভিএমে ভোট হবে। এখানে কেন্দ্র দখলের কথা হাস্যকর।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা কাজ করবেন। স্ট্রাইকিং টিম, পেট্রোল টিমসহ সকল টিমকে পরিস্থিতি সুন্দর রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলার সিনিয়র কর্মকর্তা মঞ্জরুল ইসলাম জানান, প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলছেন কিনা, তা দেখার জন্য উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য-নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল হাসান শাহীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বড় ভাইয়ের ছেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত