জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন শিক্ষার্থীরাই তা বাস্তবায়ন করবে। ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এই রোডম্যাপের পিলার হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্ন্যান্স। আজকের এই শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হুইপ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতের সকল পরিকল্পনা রুখে দিতে হবে। সেই সাথে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করতে হবে।
ইকবালুর রহিম বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে এ দেশ তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ ছিল। বিএনপি-জামায়াত এ দেশকে লুটপাট, দুর্নীতিতে পরিণত করেছিল। দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দেশে সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই দেশের মানুষ সুফল ভোগ করছে।
আলোচনা শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন তিনি। এর আগে দিনাজপুর সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন করেন এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন প্রধান অতিথি ইকবালুর রহিম। অনুষ্ঠানে কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জিব সাহার পরিচালনায় দিনাজপুর সরকারি কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আইয়ুব আলী, দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুল ইসলাম, নবীনবরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রাণী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এ কে এম আল আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল