২৯ মার্চ, ২০২৩ ২১:৪৫

সৌদির সড়কে নিহত নাজমুলের বাড়িতে আহাজারি, ভেঙে পড়েছেন মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

সৌদির সড়কে নিহত নাজমুলের বাড়িতে আহাজারি, ভেঙে পড়েছেন মা

ভেঙে পড়েছেন নাজমুল ইসলামের মা খাদিজা বেগম

ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আকাবা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ বাংলাদেশির মধ্যে যশোরের নাজমুল ইসলাম (২৮) একজন। তিনি যশোর সদর উপজেলার ঘুনি মাঠপাড়া গ্রামের কাওছার মোল্লার ছেলে। 

এছাড়া যশোরের ঘুনি গ্রামের আরও দুইজন ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তারা হলেন ঘুনি শাখারিপাড়া গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩০) ও গফ্ফার মোল্লার ছেলে সুজন হোসেন (২৬)। 

নাজমুল ইসলামের বড় ভাই কামরুল হোসেন জানান, এক বছর ২৫ দিন আগে সৌদি আরবে যান নাজমুল। সেখানে আভা খামিশ নামক স্থানে একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করতেন তিনি। রমজান উপলক্ষে রেস্তোরাঁর শিফটিং কাজের ১০ দিনের ছুটি পেয়েছিলেন তিনি। এসময় ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুয়ায়ী মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, ২৭ মার্চ রাতে তারা বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর পান। সৌদি আরবে তার আরও এক ভাই ও ভাগ্নে থাকেন। তারা সড়ক দুর্ঘটনা ও নাজমুলের মৃত্যুর খবর দেন। এরপর থেকে তাদের বাড়িতে আহাজারি শুরু হয়। তার মা খাদিজা বেগম একেবারে ভেঙে পড়েছেন। নাজমুল এর আগে দুবাই ছিলেন। সেখান থেকে চার বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার তিন বছর পর তিনি বিয়ে করেছিলেন। এর এক বছর পর কাজের উদ্দেশে সৌদি আরবে যান। তার কোনো সন্তান নেই।

এদিকে, ওই দুর্ঘটনায় রনি নামে যশোরের আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে সরকারিভাবে তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রুহুল আমিন রনির বাড়ি মাদারিপুরে। তবে তিনি নিহত যশোরের নাজমুলের আত্মীয়। তিনি নাজমুলের বড় বোনের ননদের ছেলে ছিলেন এবং তাদের দুই জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল বলে জানান নাজমুলের ভাই কামরুল। নামজুলের বছর খানেক আগে সৌদি আরবে যান রনি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর