নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আম পাড়তে নিষেধ করায় জানে আলম (৩৮) নামে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের ৩৭ নম্বর চেমটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক জানে আলম ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। তিনি বর্তমানে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণেশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের একটি আম গাছ থেকে আম পাড়তে পাঁয়তারা করছিল স্থানীয় বাসিন্দা সোনা মিয়া, ওয়াহাব আলী, মোকশেদ আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি। এসময় বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছিল। আম পাড়ার খবর পেয়ে জানে আলম গিয়ে নিষেধ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বেধরক মারপিট করে। পরে আহত অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্য শিক্ষকদের সহায়তায় জানে আলমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক জানে আলমের কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।অভিযুক্ত সোনা মিয়া, ওয়াহাব আলী ও মোকশেদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে সোনা মিয়ার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সাজল মিয়া বলেন, মারপিটের ঘটনাটি আমি শুনেছি। উভয়েরই দোষ আছে। আর এই বিদ্যালয়ের জায়গাটি আমরাই দান করেছি। এখনো বিদ্যালয়ের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। আমরা শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, এ বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
