বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে কলেজ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। কলেজের হিসাব বিভাগের চেক লেখার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি কর্মচারি অসিত কুমার দে জনতা ব্যাংকের পিসি কলেজ শাখা থেকে জাল স্বাক্ষরে রবিবার বিকালে ২৪ হাজার ১৯২ টাকা তুলে নেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন।
বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ জিয়াউল ইসলাম জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দেয়ার উদ্দেশ্যে রবিবার বিকেলে কলেজ থেকে খুলনায় যাই। কলেজ ত্যাগের পরেই অভিযুক্ত অসিত জনতা ব্যাংকের পিসি কলেজ শাখা থেকে আমার স্বাক্ষর জাল করে ২৪ হাজার ১৯২ টাকা তুলে নেয়। টাকা তুলে নেয়ার পর মুঠোফোনে মেসেজ আসলে আমার সন্দেহ হয়। ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আমি আজকে (মঙ্গলবার) কলেজে এসে তিনজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত অসিতকে চেক শাখার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কলেজ শিক্ষকদের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অসিত বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ক্ষমতাধর হয়ে ওঠা অসিত দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারে বলেও তারা সন্দেহের কথাও জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত অসিতের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল