রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানির বর্জ্য আসলে ১২ ঘণ্টায় নয় ৮ ঘণ্টায় অপসারণ করা সম্ভব। আমরা ৮ ঘণ্টায় সকল স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণের পর দেখি মানুষ পরবর্তী সময়ে কোরবানির বর্জ্য ফেলছে। এতে করে আমাদের ১২ ঘণ্টা লেগে যায়। তবে এ বছর নগরবাসী সচেতন হওয়ায় ১২ ঘণ্টায় নয় ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পারব বলে মনে করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৩টি জোন কাজ করছে। প্রতিটি জোনে ১১টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। প্রত্যেক জোনের আলাদা কজারভেন্সি ইন্সপেক্টর, গাড়ি, লেবার রয়েছে। এ বছরের স্লোগান হচ্ছে ‘আমার শহর, আমি রাখবো পরিষ্কার ‘ এই স্লোগান নগরবাসী মেনে চললে আমাদের জন্য কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সহজ হয়।
মেয়র বলেন, এ বছর ২০০ থেকে ২৫০ টন কোরবানির বর্জ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাড়ে ৬শ জনবলসহ মোট ১ হাজার ৯৩ জন কর্মী বাহিনী বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্জ্য অপসারণের কাজ মনিটরিং করছেন। এছাড়া বর্ধিত এলাকায় হাট-বাজারে ডাম্পিং ইয়ার্ড করা হয়েছে। সবাই যদি ওই স্থানে কোরবানির বর্জ্য ফেলেন তবে আমাদের জন্য অপসারণ সহজ হয়। এখন যদি কেউ ঘরের কোনে বর্জ্য ফেলে তবে সেখান থেকে অপসারণ করা সম্ভব হবে না। আমরা চাই নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান মিজুসহ অন্যরা।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর ১১৭টি স্থানে কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ১২০টি ট্রলি ও রিক্সাভ্যান, ২৭টি ড্যাম্প ট্রাক, ৩টি কমপেক্টর ট্রাক, ১টি হুইল লোডার, ৩টি ব্যাকহো লেঅডার, ২টি স্কিড লোডার, ২টি স্কারবটর, ২টি পানিবাহী গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল