খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ২ শতাধিক বাড়িঘর ও বেশ কয়েকটি সংযোগ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, খরস্রোতা চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি পৌর শহরের দুটি সংযোগ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
এগুলো হচ্ছে- গরুবাজার, ওও সবজিবাজার সংযোগ সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পৌর শহরের গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া,পুরাতন জিপ স্টেশন, মেহেদীবাগ, কালাডেবাসহ চেঙ্গী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৬০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রূপনগর এলাকায় নালা অর্ধনির্মিত ও সংস্কারের অভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০টি পরিবার। দীর্ঘ ৫ দিন ধরে এসব পরিবার রান্না করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক শহীদুজ্জামান বিকাল ৩টায় জেলার বন্যাকবলিত ও পাহাড় ধ্বসের ঝূকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, পুরো জেলায় ১৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। পৌর ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন তালুকদার জানান, রূপনগর এলাকায় ড্রেনে জলাবদ্ধতার যে সমস্যাটা হচ্ছে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।এছাড়া দীঘিনালার মাইনী নদী, মানিকছড়ির হালদা ছড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নদী, ছড়ার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে মাইকিং চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম