দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জেলায় ১৮ বছরের নিচে শতকরা ৬১.৫ বাল্যবিয়ে হচ্ছে এবং ১৫ বছরের নিচে ৩৮ শতাংশ মেয়ের বাল্যবিয়ে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ও কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট সিএইচ ফোর ডি প্রকল্পের আওতায় বাল্যবিয়ে ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে এবং শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণ শীর্ষক পরিকল্পনা সভায় ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ এ তথ্য জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সহকারী জজ আহসান হাবীব, সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান, কিশোরী-কিশোরী ক্লাবের শিশুরাসহ সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।পরিকল্পনা সভায় বক্তারা বলেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, কিশোর-কিশোরীদের প্রেমের আবেগ, সাধারণ মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণে বাল্যবিয়ে বাড়ছে। বাল্যবিয়ের কারণে নাবালিকা মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়ায় তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। নানা অসুখ-বিসুখ হচ্ছে। শিশুরা পুষ্টিহীণতায় ভুগছে। বাল্যবিয়ের শিকার সংসারগুলোতে ক্রমশ সহিংসতা বাড়ছে। এর কারণে তালাকও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যথাযথ আইনের প্রয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন