ভিডোর্সের জের ধরে ছোট বোনের সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে বড় বোন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের স্বামী। বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ পাথারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম নার্গিস বেগম। তিনি ওই এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাইবান্ধার সাঘাটার বাসিন্দা আনারুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নার্গিসের ছোট বোনের সাথে আনারুলের ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। আনারুল মাদকাসক্ত হওয়ায় গত সাত মাস আগে নার্গিসের ছোট বোনের বিচ্ছেদ হয়। আনারুলের ছোট মেয়ে তার মায়ের সাথেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আনারুল তার মেয়েকে দেখতে আসে। পরে সন্ধ্যার দিকে ভায়রা রেজাউলের সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আনারুল রেজাউল এবং নার্গিসকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে দুইজনকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্গিসকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পলাতক অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহত রেজাউলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
নিহতের ছেলে নাঈম ইসলাম বলেন, আমি বাসায় যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার খালার সাবেক স্বামীর সাথে দেখা হয়। সে বিচ্ছেদ ভুলে আবার আমার খালাকে নিয়ে সংসার করতে চায়। এজন্য আমাকে আমার খালার সাথে কথা বলতে বলে। এরপর আমাদের বাসায় গিয়ে আবার আমার বাবার সঙ্গে বিবাদে জরায়। পরবর্তীতে আমার মা বাধা দিলে আমার বাবা এবং মাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে আমার মা মারা যান। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ