নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ তিন জেলের মৃত্যু হলো।
নিহত মো. ইসমাইল হোসেন (৩০) সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলাউদ্দিন গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত অপর দুজন জেলে হলেন-সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চর মজিদ গ্রামের আবদুর রহমান (৩৩) এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে রাজু (১৬)।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত বুধবার বিকেলে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছে ইলিশ মাছের খোপে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মামা রাজা মিয়া জানান, শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পর দুপুরের দিকে ইসমাইলের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সে মারা যায়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশ থেকে দীর্ঘদিন মাছ শিকার করে আসছে। কিছু দিন আগ থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খোপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যার দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খোপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ মালামাল ডাকাতি করে নেয়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ৬ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জেলে ইসমাইল হোসেন মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এ নিয়ে ৩ জেলে মারা গেছে। গোলাগুলি ও নিহতের ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই