হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের গ্রিনল্যান্ড পার্কে শিক্ষা সফরে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এতে ২০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের প্রথমে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে, গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, হামলার একটি ভিডিওচিত্র সোস্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফোঁসে ওঠেন বিশ্বনাথবাসীসহ নেটিজেনেরা। প্রতিবাদে রাতেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুর এলাকায় ব্যরিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন পূর্ব নির্ধারিত শিক্ষা সফরে গ্রিনল্যান্ড পার্কে যান ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পার্কে প্রবেশের সময় সংকীর্ণ রাস্তায় একটি যাত্রীবাহী ইজিবাইক (টমটম) ও শিক্ষা সফরের বাস একসঙ্গে চলতে পারছিল না। এ নিয়ে উভয় গাড়ির চালক বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিক আহমদ বলেন, “পার্কে পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় ইজিবাইকের যাত্রী আমাদের এক শিক্ষার্থীকে গালি দেয়। এ নিয়ে বিতণ্ডা এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক আমরা শিক্ষার্থীদের পার্কের ভিতরে পাঠিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। কিন্তু ওই যাত্রী তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে নিজের লোকজন জড়ো করে লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে আমরা জরুরি আইনি সুরক্ষা পেতে ৯৯৯ নাম্বারে এবং সেখানকার উপজেলা চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে কল দিয়ে ঘটনাটি অবহিত করি। তারা দেখছেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্থ করলেও কার্যত কোনও পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। এর মধ্যেই, ওই যাত্রী তার লোকজন নিয়ে পার্কের ভেতরে ঢুকে আমাদের উপর হামলা চালায়।”
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় গণমাধ্যমকে জানান, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, ঘটনাটির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে হামলাকারীদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আজাদ
